আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক: শুধু আপনার ইমেইল ঠিকানা হ্যাকারদের কাছে থাকলেই তারা আপনাকে মারাত্মক সব বিপদে ফেলতে পারে। অনলাইন ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে রিডার্স ডাইজেস্ট এমনই কিছু বিপদের কথা জানিয়েছে।
১. আপনার নামে নকল ঠিকানা ব্যবহার করে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে হ্যাকাররা। এ জন্য তাদের আপনার ইমেইলের পাসওয়ার্ড দরকার পড়বে না। একে বলে ইমেইল মেসেজ ‘স্পুপ’ করা।
২. পাঠাতে পারে ফিশিং ইমেইল। এ বিষয়ে প্রযুক্তিবিদ গ্রে কেইলি বলছেন, ‘দক্ষ হ্যাকারের হাতে আপনার ইমেইল ঠিকানা থাকা মানে আপনার অর্ধেক তথ্য তার হাতে থাকা!’
‘হঠাৎ দেখবেন আপনার ইনবক্সে বিখ্যাত কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে মেইল আসছে। সেখানে ক্লিক করলেই আপনি ধরা পড়ে গেলেন। ওই লিংকে ঢুকলে আপনার পাসওয়ার্ড তারা জেনে যাবে।’
অনেক সময় পুলিশের পক্ষ থেকে এই ধরনের ফিশিং লিংক দিয়ে অপরাধী ধরা হয়। সেই অপরাধীরাও আবার এটি করতে পারে!
৩. মাঝে মাঝে ইমেইলে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়ে বিভিন্ন লিংক আসে। এসব লিংকে ঢুকে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে গেলে পুরোনো পাসওয়ার্ড চাওয়া হয়। সেটি দিলেই মেইলটা বেহাত হয়ে গেল!
৪. শুধু মেইল ঠিকানা দিয়ে আপনার বিভিন্ন অনলাইন অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারে হ্যাকাররা। আলাদা-আলাদা অ্যাকাউন্টে আলাদা পাসওয়ার্ড থাকলেও তারা এটি করতে পারে। এ ক্ষেত্রে তারা আপনাকে ওই পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের টোপ দিতে পারে।
৫. ইমেইল হ্যাক হওয়ার পর বেহাত হতে পারে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য। অনলাইনে যারা লেনদেন করেন, তাদের জন্য এটি বিপজ্জনক। ক্রেডিট কার্ডের তথ্য, ব্যক্তিগত ব্যাংকিং তথ্য পড়তে পারে ঝুঁকিতে। আর ব্ল্যাকমেইলের ব্যাপার তো থাকলই।
নিরাপদ থাকার উপায়: প্রথমত আপনাকে শক্তিশালী একটি পাসওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। এই লিংক থেকে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করার কৌশল শিখতে পারেন।
এরপর আপনি ‘দুই-স্তরের প্রমাণীকরণ’ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। অর্থাৎ মেইলে ঢুকলে প্রথমে আপনার মোবাইলে একটি কোড আসবে, সেই কোড দিলেই মেইলটি সচল হবে। কোডগুলো সাধারণত মোবাইলেই আসে, তবে বিভিন্ন অ্যাপও ব্যবহার করা যায়।
প্রযুক্তি সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা রাখতে হবে। পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে ইমেইল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবে না। কী কী তথ্য ইমেইলে শেয়ার করছেন, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। লিংকে ক্লিক করার আগে যতটুকু পারা যায় পড়ে নিন।
হ্যাক হয়ে গেলে কী করবেন: আপনার ইমেইল হ্যাক হয়েছে, এটি টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিন। কাছের মানুষদের জানিয়ে দিন, তারা যেন আপনার ঠিকানা থেকে পাঠানো কোনো লিংকে প্রবেশ না করেন কিংবা কাউকে কোনো রকম অর্থ না দেন।